শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টেকনাফ স্থলবন্দরে গত ৯ মাসে রকের্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছেন। গত নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশারফ হোসেন বলেন, প্রতিকুলতার মধ্যও রেকড পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। এটি হলো স্থলবন্দর প্রতিষ্টাতার পর সবোর্চ্চ রাজস্ব আয়। এটি অবশ্যই একটি রেকর্ড।
টেকনাফ স্থলবন্দরে শুল্কস্টেশনের কাস্টমসের দেয়া তথ্য মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত গত নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। যা স্থলবন্দরে শুল্কস্টেশনটি চালুর পর যেকোনো অর্থবছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে আমদানিতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা বিগত অর্থবছরের আদায় করা রাজস্ব থেকে ৩৩৪ কোটি ৩৯ লাখ ২হাজার টাকা বেশি। এক্ষেত্রে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে টেকনাফ স্থলবন্দরে শুল্কস্টেশনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় আদায় করা রাজস্বে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আমদানিতে রাজস্বের রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হলেও রপ্তানিতে তার বিপরীত চিত্র। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত এ নয় মাসে রপ্তানি হয়েছে ১৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলারের। তবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭ দশমিক ২৬ মার্কিন ডলারের। যা বিগত অর্থবছরের তুলনায় ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৬২ দশমিক ১৬ মার্কিন ডলার কম।
টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, ডলার-সংকটের কারণে কয়েক মাস ধরে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি ধীরে ধীরে ছন্দপতন ঘটেছে। রপ্তানি অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। চাহিদা মতো ব্যাংক ড্রাফট পাওয়া গেলে আরও কয়েকশত কোটি টাকার রাজস্ব আদায় সম্ভব হতো। এরকম রাজস্ব আদায় এ স্থলবন্দর প্রতিষ্টার পর এবারই প্রথম সর্বোচ্চ আয় হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply